Digital Marketing

ডিজিটাল মার্কেটিং এবং প্রচলিত মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য কি কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে পণ্য বা সেবার প্রচার ও বিপণনের একটি পদ্ধতি। এটি বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন, ইমেইল, ওয়েবসাইট, এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে পরিচালিত হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এবং প্রচলিত মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জেনে নিন-

ডিজিটাল মার্কেটিং এবং প্রচলিত মার্কেটিংয়ের মধ্যে পার্থক্য:

পয়েন্টডিজিটাল মার্কেটিংপ্রচলিত মার্কেটিং
প্ল্যাটফর্মঅনলাইন মাধ্যম, যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, গুগল, ইমেইল।টেলিভিশন, রেডিও, পত্রিকা, বিলবোর্ড।
লক্ষ্যভিত্তিক প্রচারণানির্দিষ্ট গ্রাহকগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে প্রচারণা চালানো যায়।সাধারণত বৃহৎ জনগোষ্ঠীর উপর ফোকাস করে।
ডেটা বিশ্লেষণপ্রচারণার ফলাফল সহজে ট্র্যাক এবং বিশ্লেষণ করা যায়।ফলাফল পরিমাপ করা কঠিন।
কস্ট-ইফেক্টিভনেসতুলনামূলকভাবে কম খরচে পরিচালনা করা যায়।সাধারণত ব্যয়বহুল।
রিয়েল-টাইম এনালাইসিসপ্রচারণার সময়ই ফলাফল দেখা যায় এবং প্রয়োজনমতো পরিবর্তন করা যায়।প্রচারণা চলাকালীন সময়ে পরিবর্তন সম্ভব নয়।
ইন্টারঅ্যাকশনগ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ এবং ইনগেজমেন্ট সম্ভব।গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ নেই।

সংক্ষেপে, ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান যুগে অধিক কার্যকর কারণ এটি দ্রুত, সাশ্রয়ী এবং লক্ষ্যভিত্তিক।

ট্রেডিশনাল মার্কেটিং কাকে বলে

ট্রেডিশনাল মার্কেটিং (Traditional Marketing) হলো পণ্য বা সেবার প্রচার ও মার্কেটিং একটি প্রথাগত পদ্ধতি যা মূলত অফলাইন মাধ্যমের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই পদ্ধতিতে বিজ্ঞাপন এবং প্রচারণার জন্য টেলিভিশন, রেডিও, পত্রিকা, ম্যাগাজিন, বিলবোর্ড, পোস্টার, ফ্লাইয়ার, এবং সরাসরি বিপণন (ডিরেক্ট মার্কেটিং) ব্যবহার করা হয়।

ট্রেডিশনাল মার্কেটিং-এর বৈশিষ্ট্য:

অফলাইন মাধ্যম: ট্রেডিশনাল মার্কেটিং কৌশল সম্পূর্ণরূপে অফলাইন ভিত্তিক।

বৃহৎ জনসংখ্যার উপর ফোকাস: এটি সাধারণত একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে।

সীমিত ট্র্যাকিং ক্ষমতা: প্রচারণার সাফল্য বা প্রভাব নির্ধারণ করা বেশ কঠিন।

ব্যয়বহুল: টেলিভিশন বিজ্ঞাপন, বিলবোর্ড, বা পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য তুলনামূলক বেশি খরচ হয়।

সরাসরি যোগাযোগের অভাব: গ্রাহকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ বা ইনগেজমেন্ট সাধারণত সম্ভব হয় না।

টেকসই প্রভাব: পত্রিকা, ম্যাগাজিন, বা বিলবোর্ডের মতো মাধ্যম দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে।

উদাহরণ:

  • টেলিভিশন বিজ্ঞাপন
  • রেডিও বিজ্ঞাপন
  • পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে বিজ্ঞাপন
  • রাস্তায় বিলবোর্ড বা ব্যানার
  • ইভেন্ট স্পন্সরশিপ

ট্রেডিশনাল মার্কেটিং-এর চ্যালেঞ্জ:

বর্তমান যুগে, ডিজিটাল মার্কেটিং জনপ্রিয় হওয়ার কারণে ট্রেডিশনাল মার্কেটিং কিছুটা পিছিয়ে পড়ছে। তবে স্থানীয় বাজার, পুরোনো প্রজন্মের গ্রাহক, এবং নির্দিষ্ট ভৌত স্থানভিত্তিক প্রচারণার জন্য এটি এখনও কার্যকর।

বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা সম্পর্কে জেনে নিন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *