Freelancing

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে যা জানা প্রয়োজন

ফ্রিল্যান্সিং শুরু পূর্বে যা জানা আবশ্যকঃ-  

ফ্রিল্যান্সিং শুরুর আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা ও বুঝা অত্যন্ত জরুরি, যাতে আপনি সফলভাবে এই পেশায় এগিয়ে যেতে পারেন। নিচে বিস্তারিত ভাবে বিভিন্ন বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করা হল:-

✅ ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং হলো স্বাধীনভাবে কাজ করার একটি পেশা, যেখানে আপনি নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি না করেও বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করেন। সাধারণত এটি অনলাইনভিত্তিক হয়ে থাকে এবং আপনি বিশ্বের যে কোনো জায়গা থেকে ক্লায়েন্টদের কাজ করতে পারেন।

১) নিজের দক্ষতা (Skill) নির্ধারণ: –

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে প্রথমেই একটি নির্দিষ্ট দক্ষতা থাকতে হবে। যেমন:

  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • ওয়েব ডিজাইন
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • এসইও (SEO)
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ভিডিও এডিটিং
  • কনটেন্ট রাইটিং
  • ডেটা এন্ট্রি ইত্যাদি

একটি নির্দিষ্ট স্কিল বেছে নিয়ে ভালোভাবে শেখা ও চর্চা করা খুব জরুরি। তবে, ফ্রিল্যান্সিং এ দক্ষতা অর্জন করতে হলে আপনার অ্যাডভান্স কোর্স করতে হবে।

২) ইংরেজি ভাষা ও কমিউনিকেশন স্কিল: –

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো (যেমন Fiverr, Upwork, Freelancer) সাধারণত ইংরেজিভাষী। তাই, অন্তত প্রাথমিক পর্যায়ের ইংরেজি বুঝা ও লেখার দক্ষতা থাকতে হবে। বিশেষ করে ক্লায়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং কমিউনিকেশন স্কিল ভালো থাকতে হবে।

৩) কম্পিউটারও ইন্টারনেট জ্ঞান:-

বেসিক কম্পিউটার স্কিল যেমন টাইপিং, ব্রাউজিং, ফাইল ম্যানেজমেন্ট, সফটওয়্যার ইনস্টল/চালানো জানা থাকা উচিত। দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করা কঠিন।

৪) ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা:-

প্রথমে কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে: যেমন-

  • Fiverr.com
  • Upwork.com
  • Freelancer.com
  • PeoplePerHour.com
  • Toptal.com

প্রত্যেকটির কাজের ধরণ, অ্যাকাউন্ট তৈরি পদ্ধতি, প্রোফাইল সেটআপ ইত্যাদি শিখে নিতে হবে।

৫) পোর্টফোলিও তৈরি: –

একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি কি পারেন তা দেখানোর জন্য একটি ভালো পোর্টফোলিও থাকা খুব জরুরি। এটি হতে পারে নিজের বানানো কিছু নমুনা কাজের সংগ্রহ, ওয়েবসাইট বা Behance/Dribbble প্রোফাইল।

৬) সময় ব্যবস্থাপনা ও ধৈর্য: –

ফ্রিল্যান্সিংয়ে এক রাতেই আয় শুরু হয় না। আপনাকে ধৈর্য ধরে সময় দিতে হবে। কাজ শিখতে সময় লাগবে, তারপর মার্কেটপ্লেসে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতেও সময় ও কৌশল লাগবে।

৭) প্রফেশনাল মানসিকতা: –

ক্লায়েন্টদের সঙ্গে পেশাদারভাবে কথা বলা, সময়মতো কাজ দেওয়া, এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করা—এই বিষয়গুলো আপনাকে ভালো ফ্রিল্যান্সার হতে সাহায্য করবে।

৮) পেমেন্ট সিস্টেম জানা:-

ফ্রিল্যান্সিং আয়ের অর্থ বাংলাদেশে আনার জন্য Payoneer, Wise, বা ব্যাংক ট্রান্সফার ব্যবহার করা হয়। এগুলোর ব্যবহার পদ্ধতি ও নিরাপত্তা বিষয়ে ভালোভাবে জানতে হবে।

নিয়মিত শেখার মানসিকতা:-

অনলাইন মার্কেটে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়, তাই নিয়মিত নতুন কিছু শেখার মনোভাব থাকতে হবে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে আগ্রহী হন, তবে প্রথম ধাপে একটি ভালো স্কিল শেখা ও প্র্যাকটিস করাই সবচেয়ে জরুরি। Nebula IT তে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে যোগাযোগ করুন-

আপনি কোন স্কিলটি শিখতে চান বলে ভাবছেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *