DeepSeek কি? Deepseek (ডিপসিক) এর মূল কাজ কি?
DeepSeek কি?
DeepSeek- ডিপসিক হল একটি চীনা কোম্পানি, যেটি ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এজিআই (AGI) বা সাধারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্জনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। কোম্পানিটির পূর্ণ নাম হল “শেনডু কিউসুও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ফান্ডামেন্টাল টেকনোলজি রিসার্চ কো., লিমিটেড”।
তবে, DeepSeek – ChatGPT এর অল্টারনেটিভ বলা যায়। DeepSeek সম্পর্কে আরও জেনে নিন-
Deepseek (ডিপসিক) এর মূল কাজ কি?
ডিপসিক (DeepSeek) এর মূল কাজ হল এজিআই (AGI) বা সাধারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশ করা। এজিআই হল এমন একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যা মানুষের মতোই সাধারণ বুদ্ধিমত্তা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা রাখে। এটিও (ChatGPT) চ্যাটজিপিটির মতো আধুনিক অনুসন্ধান ও তথ্য বিশ্লেষণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। (DeepSeek) ডিপসিকের মূল কাজ হল ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত এবং সঠিক তথ্য প্রদান করা। এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে মানুষের জীবনকে সহজ এবং উন্নত করা, এবং এজিআই অর্জনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা।
DeepSeek এর চাহিদা:-
চীনা কোম্পানি ডিপসিকের তৈরি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই চালিত চ্যাটবট যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে মুক্তি পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই অ্যাপল স্টোরের সবচেয়ে বেশিবার ডাউনলোড করা ফ্রি অ্যাপের তালিকায় সবার উপরে উঠে এসেছে।
DeepSeek অত্যন্ত সাশ্রয়ী: –
ডিপসিক অ্যাপ হঠাৎ খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এবং মার্কিন এআই কোম্পানিগুলোর সাথে ডিপসিকের খরচের পার্থক্য প্রযুক্তির বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসছে।
আর DeepSeek এর সবচেয়ে অন্যতম পয়েন্ট হল কস্ট-এফিশিয়েন্সি। DeepSeek আসলে এআই সিস্টেমের দাম কমিয়ে আনছে। প্রথমে ব্যবহারকারীদের জন্য অনেক ফিচার বিনামূল্যে করে দিয়েছে।
ডিপসিক এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে কাজ করে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন-
ডিপসিকের গবেষণা এবং উন্নয়ন কার্যক্রমঃ-
১) মৌলিক গবেষণা:
ডিপসিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মৌলিক প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করে, যেমন মেশিন লার্নিং, ডিপ লার্নিং, এবং নিউরাল নেটওয়ার্ক। এই প্রযুক্তিগুলো আরও উন্নত করে এজিআই অর্জনের চেষ্টা করা হয়।
২) প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ (NLP):
ডিপসিক এমন সিস্টেম তৈরি করে যা মানুষের ভাষা বুঝতে, পড়তে, লিখতে এবং অনুবাদ করতে পারে। এটি চ্যাটবট, ভার্চুয়াল সহকারী এবং অন্যান্য ভাষাভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহার করা হয়।
৩) কম্পিউটার ভিশন:
ডিপসিক এমন প্রযুক্তি তৈরি করে যা কম্পিউটারকে ছবি এবং ভিডিও বুঝতে সাহায্য করে। এটি চিকিৎসা, নিরাপত্তা, এবং স্বয়ংক্রিয় যানবাহনে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪) ডেটা বিশ্লেষণ এবং পূর্বাভাস:
ডিপসিক বড় ডেটা সেট বিশ্লেষণ করে এবং ভবিষ্যতের ঘটনা বা প্রবণতা সম্পর্কে পূর্বাভাস দিতে পারে। এটি ব্যবসা, অর্থনীতি, এবং বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
৫) নৈতিকতা এবং নিরাপত্তা:
ডিপসিক এজিআই প্রযুক্তির নৈতিক এবং নিরাপত্তার বিষয় মনোযোগ দেয় মনোযোগ দেয়, যাতে এটি মানবতার জন্য নিরাপদ এবং উপকারী হয়।
৬) বাস্তব-বিশ্বের অ্যাপ্লিকেশন:
ডিপসিকের গবেষণা এবং উদ্ভাবনের বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। ডিপসিকের প্রযুক্তি বিভিন্ন শিল্পে প্রয়োগ করা হয়, যেমন- স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, পরিবহন, উত্পাদন, এবং আরও অনেক কিছু। এটি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করে।