ভেক্টর ও রাস্টারের মধ্যে পার্থক্য জেনে নিন
ভেক্টর এবং রাস্টার গ্রাফিক্স এর কিছু তুলনামূলক পার্থক্য জেনে নিন-
গ্রাফিক ডিজাইনের জগতে সফল হতে হলে ভেক্টর এবং রাস্টার গ্রাফিক্সের পার্থক্য ভালো ভাবে বুঝে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে মূল পার্থক্য তুলে ধরা হলো:
১) ভেক্টর গ্রাফিক্স
- সংজ্ঞা: ভেক্টর গ্রাফিক্স গঠিত হয় পয়েন্ট, লাইন, ও কার্ভের মাধ্যমে, যা গাণিতিক সূত্র ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।
- স্কেল যোগ্যতা: আকারে বড় বা ছোট করা যায়, মান কমে না।
- ফাইল সাইজ: তুলনামূলকভাবে ছোট।
- ব্যবহার উপযোগী ক্ষেত্র: লোগো, আইকন, ইলাস্ট্রেশন, টাইপোগ্রাফি ইত্যাদি।
- সাধারণ ফাইল ফরম্যাট: .AI, .EPS, .SVG, .PDF
- যে সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়: Adobe Illustrator.
২) রাস্টার গ্রাফিক্স
- সংজ্ঞা: রাস্টার গ্রাফিক্স তৈরি হয় অসংখ্য পিক্সেল দিয়ে, যেখানে প্রতিটি পিক্সেল একটি নির্দিষ্ট রঙ ধারণ করে।
- স্কেল যোগ্যতা: বড় করলে মান কমে যায়, পিক্সেল ভেঙে যায়।
- ফাইল সাইজ: উচ্চ রেজুলেশন হলে ফাইল সাইজ বড় হয়।
- ব্যবহার উপযোগী ক্ষেত্র: ছবি, টেক্সচার, ওয়েব ইমেজ, বিস্তারিত ডিজাইন ইত্যাদি।
- সাধারণ ফাইল ফরম্যাট: .JPG, .PNG, .GIF, .BMP, .PSD
- যে সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়: Adobe Photoshop
যেখানে নিখুঁত রেখা ও স্কেলযোগ্যতার প্রয়োজন সেখানে ভেক্টর গ্রাফিক্স ব্যবহার করুন। আর বিস্তারিত ছবি বা টেক্সচার দরকার হলে ব্যবহার করুন রাস্টার গ্রাফিক্স। দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার হতে হলে এই পার্থক্য জানা জরুরি। নেবুলা আইটি এর গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স সম্পর্কে জেনে নিন-
গ্রাফিক ডিজাইন করে কি কি উপায়ে আয় করা যায়?
আরও জানুন-